অ্যাকুরিয়ামের মাছের অসুখ ( aquarium fish diseases)

অ্যাকুরিয়ামে মাছ পুষতে গিয়ে যে সমস্যার মুখে আমাদের সব থেকে বেশী পড়তে হয় , তা হল মাছ এর অসুখ করে মাছ মারা যাওয়া । মাছ মারা যাবার প্রধান কারন হল , মাছের কি অসুখ করেছে তা সঠিক ভাবে বুঝতে না পারা । বেশির ভাগ মানুষ যখন দেখেন যে অ্যাকুরিয়ামের মাছ মারা যাচ্ছে , তখন কোন অ্যাকুরিয়ামের দোকান থেকে মন মতন যে কোন একটি ওষুধ কিনে এনে অ্যাকুরিয়ামে দিয়ে দেন । কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অ্যাকুরিয়ামের মাছ গুলি বাঁচাতে সফল হন না । অনেকে আবার অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ ব্যাবহার করে থাকেন , এতে হয়তো অনেক সময় কিছুটা সফল হলেও অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যান্টি বায়োটিক ওষুধ ব্যাবহার করা হলে এর পরিনাম ভয়ঙ্কর হতে পারে , এক জন মাইক্রো বায়োলজিস্ট এর পক্ষেই বোঝা সম্ভব অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যান্টি বায়োটিক ব্যাবহার করলে, কি মারাত্মক পরিনাম হতে পারে । আমি শুধু এক কথায় বলতে পারি অ্যাকুরিয়ামে অ্যান্টি বায়টিক ওষুধ ব্যাবহার করলে অ্যাকুরিয়ামের সাথে সাথে আপনার বাড়ির মধ্যে থাকা প্রতিটি মানুষ সহ সকল জীব জন্তুর শারীরিক ক্ষতি যেচে ডেকে আনবেন । তবে অনেক সময় মাছের অসুখ ভালো করার জন্য অ্যান্টি বায়োটিক ব্যাবহার করতে হয় , সে ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক তা মুলক ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে । 




      মোটা মুটি ভাবে পাঁচ টি কারনে অ্যাকুরিয়ামের মাছ অসুস্থ হয়ে থাকে । 


১) ব্যাক্টেরিয়া ,



২) ফাঙ্গাস ,



৩) ভাইরাস , 



৪) প্যারাসাইট ,



৫) ওয়েদার এবং অন্যান্ন কারন । 


 ১)  খারাপ  ব্যাক্টেরিয়ার কারনে অ্যাকুরিয়ামের মাছের যে সমস্ত অসুখ গুলি করে থাকে , সেই সমস্ত অসুখ গুলিকে ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগ বা ব্যাক্টেরিয়াল ডিজিস বলা হয় । দেখে নেওয়া যাক ব্যাক্টেরিয়ার কারনে অ্যাকুরিয়ামের মাছের কি কি অসুখ করে থাকে ।


               ১) মাউথ ফাঙ্গাস ঃ সমস্ত ধরনের মাছের এই রোগ হতে পারে , বিশেষ করে যে সমস্ত মাছ গুলি সরাসরি বাচ্চা পাড়ে , যেমন গাপ্পি , মলি , প্লাটি ইত্যাদি । এই রোগ হলে মাছের ঠোঁট দুটি সাদা হয়ে যায় , মাছ খাওয়া বন্ধ করে দেয় , মাছ নিস্তেজ হয়ে পড়ে , এই রোগ খুবই ভয়ঙ্কর এবং সংক্রামক রোগ অ্যাকুরিয়ামের মধ্যে একটি মাছের হলে , বাকি সব মাছের এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ , বিশেষ করে লাইভ বেয়ারার অর্থাৎ যে জাতের মাছ সরা সরি বাচ্চা পারে ।

প্রতিকার: এই রোগের নামের সাথে ফাঙ্গাস শব্দটি থাকলেও এই রোগ ফাঙ্গাস জনিত নয় , এটি একটি ব্যাকটেরিয়ার কারনে হয় । এই রোগ হলে নিম্ন লিখিত ওষুধ গুলি ভালো কাজ দেয়।
1) rid all anti ich। 
2) rid all general aid।
3 general cure ( aquatic remedies)

                ২) ফিন রট বা লেজ পচা ঃ  সমস্ত ধরনের মাছের এই রোগ হতে পারে । এই রোগ হলে মাছের ফিন গুলি বিশেষত লেজ এর আগা গুলি ছেঁড়া বা পচে যায় , অনেক সময় লেজ লালচে রঙের হয়ে থাকে । এই রোগ খুবই ছোঁয়াচে । সাধারনত অ্যাকুরিয়ামের জল দূষিত হয়ে গেলে এই ব্যাক্টেরিয়া জনিত রোগটির আক্রমন ঘটে থাকে , তবে অনেক সময় অন্য মাছের কামড় থেকেও এই রোগ হতে পারে , যেমন টাইগার বার্ব অনেক সময়ই অন্য মাছের লেজে কামড় দিতে থাকে , এই রকম অনেক ধরনের মাছ আছে যাদের অন্য মাছের লেজ কামড়াবার স্বভাব আছে , এই ধরনের মাছ গুলির জন্যেও অনেক সময় এই রোগ হয়ে থাকে ।

প্রতিকার : ) rid all anti- ich। 
2) rid all general aid।
3 general cure ( aquatic remedies)


                ৩) কটন উল ডিজিজ ঃ এই রোগ সমস্ত ধরনের মাছের হতে পারে । এই রোগ হলে মনে হবে , মাছের গায়ে যেন তুলো আঁটকে আছে । এই রোগ মাছের গায়ে এক বা একাধিক যায়গায় হতে পারে । তবে এই রোগ মাছের মাথার কাছে বা লেজে বেশি হয় । এই রোগ খুব ছোঁয়াচে ।  

প্রতিকার: rid all anti-ich ।
2) rid all general - aid  ।
3) malachite green ।

                 ৪) টিউবারকিউলোসিস  ঃ সব জাতের মাছেরই এই রোগ হতে পারে । এই রোগ হলে মাছ রোগা হয়ে যায় , মাছের পেট বসে যায় , মাছের খিদে কমে যায় , মাছের রঙ হাল্কা হয়ে যায় , অনেক সময় মাছের চোখ দুটি বড় হয়ে ঠেলে যেন বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে ।

প্রতিকার : bactonil - FW ( aquatic remedies)


                 ৫) সুইম ব্লাডার ডিসঅডার ঃ এই রোগ টি পেট ফোলা রোগ নামেও পরিচিত । এই রোগ সব জাতের মাছের হতে পারে । এই রোগ হলে মাছের পেটটি ফুলে ওঠে , প্রাথমিক অবস্থায় মাছটি জলের মধ্যে সাঁতার কাটতে অসুবিধা হয় ,পরে রোগ টি বেড়ে গেলে মাছটি পেট জলের উপরে ভাসিয়ে মাথা নিচের দিকে করে ভাসতে থাকে । মাছটি জলের ভিতরে যাবার চেস্টা করে একটু সময়ের জন্য নিচে যেতে পারলেও সামান্য সময় পরে আবার মাছটি জলের উপরে ভেসে যাবে । এই রোগ খুব একটা ছোঁয়াচে নয় ।

প্রতিকার : bactonil - FW ( aquatic remedies)


                ৬) আলসার ডিজিজ ঃ সিউডোমোনাস ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমনে মাছের এই অসুখ করে থাকে । এই রোগ সমস্ত জাতের মাছের হতে পারে , এই রোগ খুব খারাপ ধরনের , সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে মাছের মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী । এই রোগ হলে মাছের গায়ে ঘা বা  ক্ষত সৃষ্টি হয় , এই রোগের একটি অত্যন্ত খারাপ দিক হল , অনেক সময় এই রোগ মাছের শরীরের ভিতরেও হয় , যা আপনার মাছের লিভার এবং কিডনি নষ্ট করে দেয় ,কিন্তু আপনি বাইরে থেকে বুঝতেও পারবেন না ।

প্রতিকার : ) rid all anti- ich। 
2) rid all general aid।
3 general cure ( aquatic remedies)


                ৭) টেল রট / ভিব্রিয়োসিস ঃ ভিব্রিয়ো ব্যাক্টেরিয়ার কারনে এই রোগ হয় । এই রোগ সমস্ত জাতের মাছের হতে পারে । এই রোগ হলে মাছের  রঙ কমে যায় এবং পাখনা গুলির শিরা উপশিরা গুলিতে রক্ত জমে যায় , বাইরে থেকে ভালো ভাবেই এই লালচে ভাব বোঝা যায় । মাছের গায়ের মিউকাস নষ্ট হয়ে গিয়ে মাছের গা খস খসে হয়ে যায় এবং রোগ বেড়ে গেলে মাছের গায়ের ভিতরের শিরা উপশিরা গুলিতেও রক্ত জমে যায় বাইরে থেকে মাছের গায়ে লাল লাল ছোপ দাগ দেখতে পাওয়া যায় । এই রোগ খুব দ্রুত এক মাছ থেকে অন্য মাছে সংক্রামিত হয় । এই রোগ হলে অ্যাকুরিয়ামে মাছের মড়ক লেগে যায় , এক টার পর একটা মাছ মারা যেতে থাকে ।  

প্রতিকার : bactonil - FW ( aquatic remedies)



২) ফাঙ্গাস ঃ মাছের গায়ে ফাঙ্গাস জনিত যে সমস্ত রোগ গুলি হয় , সেগুলি সম্বন্ধে জেনে নেওয়া যাক  ।


                    ১) বডি ফাঙ্গাস ঃ ফাঙ্গাস জনিত কারনে এখনো পর্যন্ত এই একটি মাত্র রোগকে আমি দেখতে পেয়েছি , অথচ মাছের অসুখ করলেই লোকে ফাঙ্গাসের ওষুধ ব্যাবহার করে থাকে , এমনকি জেনে রাখুন মাছের মাছের মাউথ ফাঙ্গাস বলে যে রোগ টি আছে , সেই রোগটিও ফাঙ্গাস জনিত কারনে হয় না । মাছের মাউথ ফাঙ্গাস একটি ব্যাক্টেরিয়াল ডিজিস । মাছের ফাঙ্গাস সাধারনত মাছের গায়ে হয় , কোন ভাবে মাছের গায়ে আঘাত লেগে ক্ষত তৈরি হলে সেই জায়গা থেকেই সাধারনত ফাঙ্গাস রোগ সৃষ্টি হয় । মাছের গায়ে যে স্থানে ফাঙ্গাস হয় , সেই জায়গাটি সাদা রঙের হয়ে যায় , যায়গাটি দেখতে সাদা রঙের পশমের মতন লাগে । তবে মনে রাখবেন ফাঙ্গাস রোগের সাদা রঙের রোঁয়া গুলি কটন উল ডিজিজের মতন অতটা লম্বা হয় না । এই ফাঙ্গাস রোগ সব জাতের মাছের হতে পারে ।

প্রতিকার : ) rid all anti- ich। 
2) rid all general aid।
3 general cure ( aquatic remedies)
4) rid all  anti -fungus 

৩) ভাইরাল ডিজিজ ঃ ভাইরাসের কারনে মাছের যে সমস্ত অসুখ গুলি করে থাকে , সেই সব রোগ গুলিকে ভাইরাল ডিজিজ বলা হয় । দেখে নেওয়া যাক ভাইরাল ডিজিজ গুলি কি কি ? 


                          ১) ড্রপসি ঃ এই রোগ হলে মাছের গায়ের আঁশ গুলি খাড়া হয়ে ওঠে , মাছ টি জলের উপর দিক থেকে বেলুনের মতন দেখতে লাগে  ।  এই রোগ সব জাতের মাছের হতে দেখিনি । যে সমস্ত জাতের মাছ গুলি শাক সবজি , গাছের পাতা ইত্যাদি খায় , সেই সব জাতের মাছের এই রোগ বেশী হয়ে থাকে , যেমন গোল্ড ফিশ , কার্প , মলি ইত্যাদি । 


                          ২) লিম্ফোসাইটিস ঃ ভাইরাল ডিজিজের মধ্যে এই রোগটি বেশী দেখা যায় । এই রোগ সব জাতের মাছের হতে পারে । এই রোগ হলে মনে হবে মাছের গায়ে সাদা মতন কিছু একটা আটকে আছে , সাদা অংশ টি যে কোন শেপের হতে পারে , এই রোগ টিকে অনেকে পক্স রোগ ও বলে থাকেন ।


                           ৩) ইরিডো ভাইরাস ঃ বেশীরভাগ জাতের মাছেরই এই রোগ হতে পারে , এই রোগ হলে মাছ খুব দুর্বল হয়ে যায় , খাওয়া বন্ধ করে দেয় , মাছ সরু হয়ে যায় ,  মাছ এর রঙ কালচে হয়ে যায় ,এই রোগ ভীষণ সংক্রামক । খুব দ্রুত মাছ মরতে থাকে । মাছ জলের উপরে মুখ তুলে ঝুলে থাকা এবং মাঝে মাঝে ছিটকে ওঠা  এই রোগের বিশেষ লক্ষণ । এঞ্জেল , ডিসকাস  এবং গোরামি জাতের মাছের এই অসুখ বেশী হয় ।


৪) প্যারাসাইটিকাল ডিজিজ ঃ পারাসাইটের কারনে মাছের বেশ কিছু ধরনের অসুখ করে থাকে , এক নজরে দেখে নেওয়া যাক অসুখ গুলি কি কি ? 

                               ১) হোয়াইট স্পট ঃ অ্যাকুরিয়ামের মাছের যত রোগ আছে তার মধ্যে অন্যতম । এই রোগ হলে মাছের গায়ে সাদা সাদা গুঁড়ো বরফের কুঁচির মত দেখতে পাওয়া যায় । প্রথমে এই রোগ মাছের পাখনায় হয় , তার পর সারা গায়ে ছড়িয়ে পরে । এই অসুখ হলে মাছ অ্যাকুরিয়ামের ভিতরে রাখা পাথর , গাছ , ফিল্টার , হিটার প্রভৃতির গায়ে নিজের গা ঘষতে থাকে । মাছ আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পরে , খাওয়া বন্ধ করে দেয় । এই রোগ ভীষণ ছোঁয়াচে   । এই রোগ সব জাতের মাছের হতে পারে ।

প্রতিকার: 1) rid all  anti- ich
2) general cure ( aquatic remedies)
3) malachite green ।


                               ২)  কানকো পচা রোগ ঃ এই রোগ মাছের কানকো অর্থাৎ  gill  এর ভিতরে হয়। এই রোগ বাইরে থেকে সহজে বোঝা যায় না । এই রোগের লক্ষন হল মাছ কানকো কম খোলা পরা করবে , মাছ বেশিরভাগ সময় মুখ বন্ধ করে রাখবে , খাওয়া বন্ধ করে দেবে , মাছ জলের উপরে মুখ তুলে দিয়ে ঝুলে থাকবে । এই রোগ খুব সংক্রামক । সাধারনত গোল্ড ফিশ , অ্যাঞ্জেল , ডিসকাস জাতের মাছের বেশি হয় ।

        প্রতিকার :paracidol -FW ( aquatic remedies)
                                ৩) ভেল্ভেট ডিজিজ ঃ এই রোগ হলে মাছের সারা গায়ে সাদা রঙের প্রলেপ পরে, দেখলে মনে হতে পারে মাছের সারা গায়ে পাতলা সাদা রঙের ভেল্ভেট লাগানো হয়েছে । প্রায় সব জাতের মাছের এই রোগ হতে পারে । এই রোগ হলে মাছের গায়ে ইরিটেসান হয় , মাছ অ্যাকুরিয়ামের ভিতরে যেখানে সেখানে গা ঘসতে থাকে ,মাছ নিজের পাখনা গুলি গায়ের সাথে লেপ্টে রাখার চেষ্টা শটা, খাওয়া কমিয়ে দেয় বা রোগ বেড়ে গেলে খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেয় । এই অসুখ খুবই ছোঁয়াচে , এই রোগ হলে অ্যাকুরিয়ামের মাছে মড়ক লেগে যায় ।


প্রতিকার: 1) rid all anti- ich
2) general cure ( aquatic remedies)
3) malachite green ।



                               ৪) অ্যাঙ্কার ওয়ার্ম ঃ অ্যাকুরিয়ামের মাছের গায়ে সাধারনত দুই ধরনের অ্যাঙ্কার ওয়ার্ম দেখতে পাওয়া যায়  , একটি গোল আকারের , অন্যটি সরু লম্বা আকারের । এই পোকা গুলি মাছের গায়ে কামড়ে বসে থেকে মাছের রক্ত রস টেনে খায় , মাছ আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মারা যায় । এই রোগ হলে মাছ নিজের গা ঘসতে থাকে , মাঝে মাঝে ছট ফট করে ওঠে । উভয় জাতের পোকা গুলি খুব দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে থাকে । এই পোকা সব জাতের মাছেরই হতে পারে ।

প্রতিকার :paracidol -FW ( aquatic remedies)

                               


৫) হেড হোল ডিজিজ ঃ এই পর্যায় যে রোগ সম্বন্ধে লিখে আমার লেখা শেষ করবো তার নাম হেড হোল ডিজিজ । এই রোগ শতকরা ৯০ ভাগ মাছের মাথা এবং ঘাড়ের কাছে হয় বলেই এই রোগের নাম হেড হোল ডিজিজ । এই রোগ মাছের মাথা বা ঘাড় ছাড়াও শরীরের অন্য জায়গাতেও হতে পারে , তবে সেটা খুব রেয়ার । এই রোগ হলে প্রথমে জায়গাটি সাদা বা লালচে রঙের হয় দু এক দিন পরে ওই জায়গায় গর্ত হতে থাকে , যত দিন যেতে থাবে গর্ত ততই গভীর হতে থাকবে, এই রোগ শরীরের ভিতরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে । এই রোগ খুব ছোঁয়াচে তবে সব জাতের মাছেদের মধ্যে এই রোগ আমি হতে দেখিনি । এই রোগ সবথেকে বেশি হয় সিক লিড জাতের মাছের , বিশেষত ডিসকাস , অ্যাঞ্জেল , সিভোরাম   প্রভৃতি মাছেদের মধ্যে এই রোগ সব থেকে বেশী হতে দেখেছি ।

প্রতিকার :paracidol -FW ( aquatic remedies)


৫) আবহাওয়া এবং অন্যান্য কারনে যে সমস্ত রোগ গুলি অ্যাকুরিয়ামের মাছেদের হয়ে থাকে , সেগুলি সম্বন্ধে  জেনে নেওয়া যাক । অনেক সময় দেখা যায় মাছ অসুস্থ হয়ে পড়েছে কিন্তু কোন ধরনের রোগ হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না , ভালো করে ভেবে দেখবেন মাছ গুলি হয়তো কোন বাহ্যিক কারনে অসুস্থ হয়ে থাকতে পারে । দেখে নিন কি কি বাহ্যিক কারনে আপনার অ্যাকুরিয়ামের মাছ অসুস্থ হতে পারে ।


                               ১)  হটাত করে জলের তাপমাত্রা কমে গেলে বা বেড়ে গেলে।


                                ২) অ্যাকুরিয়ামের জলে অ্যামোনিয়া বা নাইট্রোজেনের পরিমান বেড়ে গেলে ।


                                 ৩) জলে ক্লোরিন থাকলে ।



       ৪) জলে অক্সিজেনের পরিমান কমে গেলে ।


       ৫) জলে কোন  রকম বিষাক্ত কিছু পড়লে বা তার থেকে বিষক্রিয়া হলে  ।


       ৬) অ্যাকুরিয়ামের অন্য মাছের দ্বারা আক্রান্ত হলে ।









                            

                            


    

Comments

Post a Comment

Popular posts from this blog

গাপ্পি মাছ ( guppy fish )

মাছ কি খেতে ভালো বাসে / অ্যাকুরিয়ামের মাছ কি ধরনের খাবার সব থেকে পছন্দ করে ( aquarium fish food ) ?